প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ সালের মধ্যে পৌরসভার পানি সরবারহের আওতায় ৭৫ ভাগ ও ২০২৮ সালের মধ্যে শতভাগ নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। বর্তমানে দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে ১৫৯টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এছাড়া ১৪৬টি ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬১টি পৌরসভার বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক অর্থায়নে ৩০টি পৌরসভায় ওয়াটার সাপ্লাই, স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ ব্যাবস্থার উন্নয়নের লক্ষে এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।
যেসব পৌরসভায় এ উন্নয়ন কাজ করা হবে এর মধ্যে রয়েছে- গোয়ালন্দ, পাঁচবিবি, আক্কেলপুর, বনপাড়া, বড়ইগ্রাম, কাটাখালী, তাহেরপুর, বাঘা, ইসলামপুর, তারাবো, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, আখাউড়া, ধনবাড়ি, মধুপুর, ভূয়াপুর, দেবীদ্বার, হোমনা, চৌগাছা, সেনবাগ, রামগতি, পরশুরাম, বাঁশখাণী, চন্দনাইশ, কমলগঞ্জ, বড়লেখা, নাচোল, গাংনী, শিবগঞ্জ ও কাহালু পৌরসভা। প্রকল্পের আওতায় যে সকল উন্নয়ন কাজ করা হবে তা হলো, ৩০টি পৌরসভার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও ড্রেনেজ স্থাপন।
৯০টি পাবলিক টয়লেট স্থাপন, ৯শ স্বাস্থ্যসম্মত টেকসই ল্যাট্রিন নির্মাণ, বর্জ ব্যবস্থাপনা সরঞ্জামাদি (গারবেজ ট্রাক ৩০টি)। পৌরসভার জন্য ৬০টি ভেকুটাগ ক্রয়, ৩০টি পৌরসভার প্রাতিষ্ঠানিক স্বক্ষমতার উন্নয়নসহ আরও অনেক কিছু। এবিষয়ে প্রকল্পের পরিচালক মীর আব্দুস সাহিদ দৈনিক ভোরের পাতাকে বলেন, এটি একটি সময়োপযোগী প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ৩০ পৌরসভা এলাকার জনগণ নিরাপদ পানি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
এতে প্রকল্প চলাকালীন সময়ে ৬ লাখ লোক উপকৃত হবে। তাছাড়া প্রকল্পের অধীনে স্থাপিত স্যানিটেশন ব্যবস্থা হতে দেড় লাখ মানুষ উপকৃত হবে। প্রকল্প এলাকায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের জুলাইতে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে